বাপিবাবু একেবারে অ্যামেজিং! আমাকে নিয়ে আবার একটা বই লিখেছেন। বইটার নাম দিয়েছেন ‘আসল খুনির সন্ধানে...।’ সত্যিকথা বলতে কি, আমি বেশ অবাকই হয়েছি। যেটা নিয়ে এই কাহিনী, সেটার সঙ্গে বাপিবাবু তেমন ভাবে জড়িত ছিলেন না। আমি চলে এসেছিলাম কলকাতায় তদন্ত করতে। বাপিবাবু আর প্রমথবাবু আসতে পারেন নি – নিউ ইয়র্কেই ছিলেন । ইউনিভার্সিটিতে পড়ান – দুম করে আসবেন কি করে? ফোনে অবশ্য কথা হত নিয়মিত। বাপিবাবুই ফোন করতেন বেশি। আমি ওঁকে বলতাম কি হচ্ছে না হচ্ছে। মন দিয়ে শুনতেন, দুয়েকটা পরামর্শও দিতেন। তখন অবশ্য বুঝি নি যে উনি সেগুলো থেকে একটা বই লিখে ফেলবেন! সেই শুনে বাপিবাবু মুচকি মুচকি হেসেছেন। উলটে আমাকে বলেছেন, ‘প্রমথটা রাম হিংসুটে। এই যে আপনার নাম হচ্ছে। আর আপনার দৌলতে আমার নামও এক আধটা লোক জানছে – ও সেটা সহ্য করতে পারছে না।’

