বাপিবাবু একেবারে অ্যামেজিং! আমাকে নিয়ে আবার একটা বই লিখেছেন। বইটার নাম দিয়েছেন ‘আসল খুনির সন্ধানে...।’ সত্যিকথা বলতে কি, আমি বেশ অবাকই হয়েছি। যেটা নিয়ে এই কাহিনী, সেটার সঙ্গে বাপিবাবু তেমন ভাবে জড়িত ছিলেন না। আমি চলে এসেছিলাম কলকাতায় তদন্ত করতে। বাপিবাবু আর প্রমথবাবু আসতে পারেন নি – নিউ ইয়র্কেই ছিলেন । ইউনিভার্সিটিতে পড়ান – দুম করে আসবেন কি করে? ফোনে অবশ্য কথা হত নিয়মিত। বাপিবাবুই ফোন করতেন বেশি। আমি ওঁকে বলতাম কি হচ্ছে না হচ্ছে। মন দিয়ে শুনতেন, দুয়েকটা পরামর্শও দিতেন। তখন অবশ্য বুঝি নি যে উনি সেগুলো থেকে একটা বই লিখে ফেলবেন!
এবারের এই লেখাটা পড়ি নি। ২০১৩-র বইমেলায় বইটা পাওয়া যাবে – এইটুকুই জানি। বইটা এবার নাকি একটু অন্য রকম হবে। প্রমথবাবু পড়েছেন, আর মুখে ছ্যা ছ্যা করেছেন। শুধু তাই নয় আমাকে বলেছেন বাপিবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মোকদ্দমা করতে। বাপিবাবু নাকি ইচ্ছেমত আমি কি ভাবছি চিন্তা করছি সেগুলো বইয়ে ঢুকিয়েছেন। আর ওই ভাবনা চিন্তা এত এলোমেলো আর নিকৃষ্ট মানের যে লোকে আমার চিন্তাশক্তির দৌড় দেখে হাসাহাসি করবে। শুধু তাই নয়, আমাকে সতর্ক করেছেন প্রমথবাবু, ‘শুনুন একেনবাবু, এটা পড়লে লোকে আর আপনাকে কাজ দেবে না।’ সেই শুনে বাপিবাবু মুচকি মুচকি হেসেছেন। উলটে আমাকে বলেছেন, ‘প্রমথটা রাম হিংসুটে। এই যে আপনার নাম হচ্ছে। আর আপনার দৌলতে আমার নামও এক আধটা লোক জানছে – ও সেটা সহ্য করতে পারছে না।’