প্রায় এক বছর হল লেখাপত্তর ছেড়ে বাপিবাবু একটা তথ্যের ওয়েবসাইট 'অবসর' নিয়ে পড়ে আছেন। 'লেখাপত্তর ছেড়ে' বলতে আমি বোঝাতে চাইছি আমার কাহিনী আর লিখছেন না। কেন লিখছেন না, সেটা বলতে পারব না। তবে এ বিষয়ে প্রমথবাবুর একটা থিওরি আছে - আমাকে সেটা বার কয়েক বলেওছেন। লেখক হতে যে এলেম লাগে - তার কণামাত্র বাপিবাবুর মধ্যে নেই। সেটা যে নেই - সেটা সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের বুঝতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু বাপিবাবুর লেগে গেছে প্রায় এক যুগ! এসব বলার পর আবার আমাকে বলেছেন, "আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, বাপি লিখুক বা না লিখুক, আপনার পশারের তাতে কমবেশি হবে না। তবে বাপিকে বলবেন - মন খারাপ না করতে। কারো হয় কারো হয় না। "
আচ্ছা, এটা কি কাউকে বলা যায়! বাপিবাবুও দেখছি বেশ কিছুদিন খুব চুপচাপ। আগে নিয়মিত আসতেন, আজকাল প্রায় মুখই দেখি না। এরমধ্যে হঠাৎ একদিন এসে প্রায় অযাচিত ভাবেই ঘোষণা করলেন, “বুঝলেন একেনবাবু, এইসব মাসিক দ্বিমাসিক পত্রিকায় আর লিখবো না।"
আমি জিজ্ঞেস করলুম, "কেন স্যার?"
“আপনার রহস্যকাহিনী যার তার জন্যে নয়। ওগুলো হল লজিকে ভরা ঠাসবুনুনি এক একটা পাজল। চা খেতে খেতে ক্যাসুয়ালি পাতা উলটে পড়ার জিনিস নয়। মাথাটাকে বেশ খেলিয়ে খেলিয়ে একটু একটু করে ওর রসাস্বাদন করতে হয়।'
“তাতো বুঝলাম স্যার, কিন্তু তার সঙ্গে পত্রিকায় না লেখার সম্পর্ক কি?”
“না লেখার কারণ হল, ওরকম একটা গল্পের পাশে যদি চোখে পড়ে একটা ছেঁদো প্রবন্ধ, যার প্রধান বক্তব্য কোন তাবিজ নিলে ভাল ফল পাওয়া যায় বা ঐ রকমের সিলি একটা কিছু - তাহলে কিরকম লাগে বলুন তো! তাই ঠিক করেছি, পত্রিকা ফত্রিকা নয়, আপনার কাহিনী নিয়ে স্রেফ বই লিখব।"
বাপিবাবুর কি মাথা খারাপ হয়েছে! গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে মাথায় অনাবশ্যক চাপ সৃষ্টি করে কে ঐসব হাবিজাবি কাহিনী পড়তে যাবে! কিন্তু কিছু বলার আগেই বাপিবাবু বললেন, "পরের বইয়ের টাইটেল ঠিক হয়ে গেছে... ‘হাউসবোটে নিখোঁজ ও অন্যান্য রহস্য’। একটা কাভার ডিজাইনার খুঁজছি।"
"পাবলিশার পেয়েছেন?"
"কেন পাব না। কলেজ স্ট্রীটে পাবলিশারের অভাব? তবে এবার বইয়ের দামটা বাড়াবো - একশো টাকাটা বড্ড সস্তা।"
"সেটা কি ঠিক হবে স্যার। সেদিন তো এক ভদ্রলোক একশো টাকা গচ্চা গেছে বলে আপনাকে গালমন্দ করে গেলেন।"
"যার গালমন্দ করার - সে সব সময়েই করবে। এবার না হয় দুশো টাকা গচ্চা গেছে বলে করবে। "
আমি চুপ করে আছি দেখে বাপিবাবু বললেন, " নিজেকে শর্ট চেঞ্জ করবেন না। মনে রাখবেন, আপনি একেনবাবু। একশোতে একেনবাবুকে পাওয়া যায় না!" তারপর "আজকে একটু তাড়া আছে," বলে চা না খেয়েই চলে গেলেন।
খানিক বাদে প্রমথবাবু এলে, ব্যাপারটা বললাম। প্রমথবাবু শুধু বললেন, "পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। "
আশাকরি প্রকাশক বাপিবাবুকে বইয়ের দাম বাড়াতে দেবেন না।
আচ্ছা, এটা কি কাউকে বলা যায়! বাপিবাবুও দেখছি বেশ কিছুদিন খুব চুপচাপ। আগে নিয়মিত আসতেন, আজকাল প্রায় মুখই দেখি না। এরমধ্যে হঠাৎ একদিন এসে প্রায় অযাচিত ভাবেই ঘোষণা করলেন, “বুঝলেন একেনবাবু, এইসব মাসিক দ্বিমাসিক পত্রিকায় আর লিখবো না।"
আমি জিজ্ঞেস করলুম, "কেন স্যার?"
“আপনার রহস্যকাহিনী যার তার জন্যে নয়। ওগুলো হল লজিকে ভরা ঠাসবুনুনি এক একটা পাজল। চা খেতে খেতে ক্যাসুয়ালি পাতা উলটে পড়ার জিনিস নয়। মাথাটাকে বেশ খেলিয়ে খেলিয়ে একটু একটু করে ওর রসাস্বাদন করতে হয়।'
“তাতো বুঝলাম স্যার, কিন্তু তার সঙ্গে পত্রিকায় না লেখার সম্পর্ক কি?”
“না লেখার কারণ হল, ওরকম একটা গল্পের পাশে যদি চোখে পড়ে একটা ছেঁদো প্রবন্ধ, যার প্রধান বক্তব্য কোন তাবিজ নিলে ভাল ফল পাওয়া যায় বা ঐ রকমের সিলি একটা কিছু - তাহলে কিরকম লাগে বলুন তো! তাই ঠিক করেছি, পত্রিকা ফত্রিকা নয়, আপনার কাহিনী নিয়ে স্রেফ বই লিখব।"
বাপিবাবুর কি মাথা খারাপ হয়েছে! গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে মাথায় অনাবশ্যক চাপ সৃষ্টি করে কে ঐসব হাবিজাবি কাহিনী পড়তে যাবে! কিন্তু কিছু বলার আগেই বাপিবাবু বললেন, "পরের বইয়ের টাইটেল ঠিক হয়ে গেছে... ‘হাউসবোটে নিখোঁজ ও অন্যান্য রহস্য’। একটা কাভার ডিজাইনার খুঁজছি।"
"পাবলিশার পেয়েছেন?"
"কেন পাব না। কলেজ স্ট্রীটে পাবলিশারের অভাব? তবে এবার বইয়ের দামটা বাড়াবো - একশো টাকাটা বড্ড সস্তা।"
"সেটা কি ঠিক হবে স্যার। সেদিন তো এক ভদ্রলোক একশো টাকা গচ্চা গেছে বলে আপনাকে গালমন্দ করে গেলেন।"
"যার গালমন্দ করার - সে সব সময়েই করবে। এবার না হয় দুশো টাকা গচ্চা গেছে বলে করবে। "
আমি চুপ করে আছি দেখে বাপিবাবু বললেন, " নিজেকে শর্ট চেঞ্জ করবেন না। মনে রাখবেন, আপনি একেনবাবু। একশোতে একেনবাবুকে পাওয়া যায় না!" তারপর "আজকে একটু তাড়া আছে," বলে চা না খেয়েই চলে গেলেন।
খানিক বাদে প্রমথবাবু এলে, ব্যাপারটা বললাম। প্রমথবাবু শুধু বললেন, "পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। "
আশাকরি প্রকাশক বাপিবাবুকে বইয়ের দাম বাড়াতে দেবেন না।