Tuesday, June 9, 2020

বহুদিন ব্লগ-এ কিছু লিখিনি। কারণটা হল নানান কেস নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যখন খেয়াল হল তখন দেখলাম ব্লগের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি! নানান ভাবে চেষ্টা করে শেষে হাল ছেড়ে দিলাম। এদিকে এতো কিছু ঘটে গেছে! একবার তো বাপি বাবু দেশেই ফিরে যাবেন ভাবছিলেন। প্রমথ বাবুর সঙ্গে ফ্র্যান্সিস্কা ম্যডামের ছাড়াছাড়ি হল আবার ভাব হল। বাপি বাবুর বেভ ম্যাডামের সঙ্গে একটু প্রেম প্রেম হচ্ছিল, কেন জানি না, বোধহয় মায়ের জন্য এখন পিছিয়ে পড়েছেন।

 প্রেমের ব্যাপারে সুবিধা না হলেও বাপি বাবুর লেখার ব্যাপারে একটু একটু খ্যাতি হয়েছে। আমার গোয়েন্দা কাহিনিগুলো নাকি ভালোই বিক্রি হচ্ছে।  'দ্য কাফে টেবল' নামে একটা পাবলিকেশন কোম্পানি তো 'একেনবাবু সমগ্র' নাম দিয়ে চার চারটে খণ্ড প্রকাশ করে ফেলেছে! এমন কি গুগল প্লে বুকসে সেগুলো ইবুক হিসেবে বিক্রিও করছে।  আরেকটা বড় খবর হচ্ছে আমাকে নিয়ে একটা ওয়েব সিরিজ বেরিয়েছে।  তার তিনটে সিজন পর্যন্ত হয়ে গেছে। আমি অবশ্য তাতে পার্ট পাইনি। কি দুঃখের কথা বলুন তো!


Wednesday, December 17, 2014

হাউসবোটে নিখোঁজ ও অন্যান্য রহস্য

প্রায় এক বছর হল  লেখাপত্তর ছেড়ে  বাপিবাবু একটা তথ্যের ওয়েবসাইট 'অবসর' নিয়ে পড়ে আছেন।   'লেখাপত্তর ছেড়ে'   বলতে  আমি বোঝাতে চাইছি আমার কাহিনী আর লিখছেন না। কেন লিখছেন না,  সেটা বলতে পারব না। তবে এ বিষয়ে প্রমথবাবুর একটা থিওরি আছে - আমাকে সেটা বার কয়েক বলেওছেন।  লেখক হতে যে এলেম লাগে -  তার কণামাত্র বাপিবাবুর মধ্যে নেই। সেটা যে নেই - সেটা সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের বুঝতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু বাপিবাবুর লেগে গেছে প্রায় এক যুগ!  এসব বলার পর আবার আমাকে বলেছেন,  "আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, বাপি লিখুক বা না লিখুক, আপনার পশারের তাতে কমবেশি হবে না। তবে বাপিকে  বলবেন -  মন খারাপ না করতে। কারো হয় কারো হয় না। "
আচ্ছা, এটা কি কাউকে বলা যায়!  বাপিবাবুও দেখছি বেশ কিছুদিন  খুব চুপচাপ।  আগে নিয়মিত আসতেন,  আজকাল প্রায় মুখই দেখি না।  এরমধ্যে হঠাৎ একদিন এসে প্রায় অযাচিত ভাবেই ঘোষণা করলেন,  “বুঝলেন একেনবাবু,  এইসব মাসিক দ্বিমাসিক পত্রিকায় আর লিখবো না।"
আমি জিজ্ঞেস করলুম, "কেন স্যার?"
“আপনার রহস্যকাহিনী যার তার জন্যে নয়।  ওগুলো হল লজিকে ভরা  ঠাসবুনুনি এক একটা পাজল। চা খেতে খেতে ক্যাসুয়ালি পাতা উলটে পড়ার জিনিস নয়। মাথাটাকে বেশ খেলিয়ে খেলিয়ে একটু একটু করে ওর রসাস্বাদন করতে হয়।'
“তাতো বুঝলাম স্যার, কিন্তু তার সঙ্গে পত্রিকায় না লেখার সম্পর্ক কি?”
“না লেখার কারণ হল,  ওরকম একটা গল্পের  পাশে  যদি চোখে পড়ে একটা ছেঁদো প্রবন্ধ, যার প্রধান বক্তব্য কোন তাবিজ নিলে ভাল ফল পাওয়া যায় বা  ঐ রকমের সিলি একটা কিছু - তাহলে কিরকম লাগে বলুন তো!  তাই ঠিক করেছি, পত্রিকা ফত্রিকা নয়, আপনার কাহিনী নিয়ে স্রেফ বই লিখব।"
বাপিবাবুর কি মাথা খারাপ হয়েছে! গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে মাথায় অনাবশ্যক চাপ সৃষ্টি করে কে ঐসব হাবিজাবি কাহিনী পড়তে যাবে! কিন্তু কিছু বলার আগেই বাপিবাবু বললেন, "পরের বইয়ের টাইটেল ঠিক হয়ে গেছে... ‘হাউসবোটে নিখোঁজ ও অন্যান্য রহস্য’। একটা কাভার ডিজাইনার খুঁজছি।"
"পাবলিশার পেয়েছেন?"
"কেন পাব না। কলেজ স্ট্রীটে পাবলিশারের অভাব? তবে এবার বইয়ের দামটা বাড়াবো - একশো টাকাটা বড্ড সস্তা।"
"সেটা কি ঠিক হবে স্যার। সেদিন তো এক ভদ্রলোক একশো টাকা গচ্চা গেছে বলে আপনাকে গালমন্দ করে গেলেন।"
"যার গালমন্দ করার - সে সব সময়েই করবে। এবার না হয় দুশো টাকা গচ্চা গেছে বলে করবে। "
আমি চুপ করে আছি দেখে বাপিবাবু বললেন, " নিজেকে শর্ট চেঞ্জ করবেন না। মনে রাখবেন, আপনি একেনবাবু। একশোতে একেনবাবুকে পাওয়া যায় না!" তারপর "আজকে একটু তাড়া আছে," বলে চা না খেয়েই চলে গেলেন।

খানিক বাদে প্রমথবাবু  এলে, ব্যাপারটা বললাম। প্রমথবাবু শুধু বললেন, "পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। "
আশাকরি প্রকাশক বাপিবাবুকে বইয়ের দাম বাড়াতে দেবেন না।

Thursday, November 8, 2012

আসল খুনির সন্ধানে...

বাপিবাবু একেবারে অ্যামেজিং! আমাকে নিয়ে আবার একটা বই লিখেছেন। বইটার নাম দিয়েছেন ‘আসল খুনির সন্ধানে...।’ সত্যিকথা বলতে কি, আমি বেশ অবাকই হয়েছি। যেটা নিয়ে এই কাহিনী, সেটার সঙ্গে বাপিবাবু তেমন ভাবে জড়িত ছিলেন না। আমি চলে এসেছিলাম কলকাতায় তদন্ত করতে। বাপিবাবু আর প্রমথবাবু আসতে পারেন নি – নিউ ইয়র্কেই ছিলেন । ইউনিভার্সিটিতে পড়ান – দুম করে আসবেন কি করে? ফোনে অবশ্য কথা হত নিয়মিত। বাপিবাবুই ফোন করতেন বেশি। আমি ওঁকে বলতাম কি হচ্ছে না হচ্ছে। মন দিয়ে শুনতেন, দুয়েকটা পরামর্শও দিতেন। তখন অবশ্য বুঝি নি যে উনি সেগুলো থেকে একটা বই লিখে ফেলবেন!
এবারের এই লেখাটা পড়ি নি। ২০১৩-র বইমেলায় বইটা পাওয়া যাবে – এইটুকুই জানি। বইটা এবার নাকি একটু অন্য রকম হবে। প্রমথবাবু পড়েছেন, আর মুখে ছ্যা ছ্যা করেছেন। শুধু তাই নয় আমাকে বলেছেন বাপিবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মোকদ্দমা করতে। বাপিবাবু নাকি ইচ্ছেমত আমি কি ভাবছি চিন্তা করছি সেগুলো বইয়ে ঢুকিয়েছেন। আর ওই ভাবনা চিন্তা এত এলোমেলো আর নিকৃষ্ট মানের যে লোকে আমার চিন্তাশক্তির দৌড় দেখে হাসাহাসি করবে। শুধু তাই নয়, আমাকে সতর্ক করেছেন প্রমথবাবু, ‘শুনুন একেনবাবু, এটা পড়লে লোকে আর আপনাকে কাজ দেবে না।’

সেই শুনে বাপিবাবু মুচকি মুচকি হেসেছেন। উলটে আমাকে বলেছেন, ‘প্রমথটা রাম হিংসুটে। এই যে আপনার নাম হচ্ছে। আর আপনার দৌলতে আমার নামও এক আধটা লোক জানছে – ও সেটা সহ্য করতে পারছে না।’

Friday, December 2, 2011

ম্যানহাটানের ম্যাডম্যান ২০১২-র বইমেলায় পাওয়া যাবে

বাপিবাবু জানালেন 'ম্যানহাটানের ম্যাডম্যান' নাকি এখন ছাপাখানায়। এই বইমেলায় পাওয়া যাবে, কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে - এখনো জানেন না। খোঁজ নিয়ে শিগগিরি আমাকে জানাবেন। একটাই বাজে খবর - বাপিবাবুর অনেক কষ্টে করা কভার নাকি ছাপাখানার মালিক ছাপতে রাজি হন নি। বাপিবাবু তাতে খুব বিমর্ষ। প্রমথবাবুর মতে ওটা নাকি পাতে দেবার যোগ্য ছিল না। বইয়ের নামটাও পাল্টানো উচিত ছিল, কেন প্রকাশক সেটা নিয়ে আপত্তি তোলেন নি প্রমথবাবু ভেবে পাচ্ছেন না।

যাইহোক এ মাসেই বইটা বেরোচ্ছে শুনে আমার ভালোই লাগছে। শুধু বইয়ের সামনে জ্যাকেটের পেছনে বাপিবাবু যা লিখেছেন, তাতে আমি একটু অবাক হয়েছি। খরচের ভয়ে পরিবারের হুকুম অমান্য করে আমি নাকি নীলা পরি নি। এটা পরিবারের চোখে পড়লে উনি কি ভাববেন বলুন তো! আমি বাপিবাবুকে অনুরোধ করলাম - প্লিজ স্যার, ওই লাইনটা বাদ দিন। উনি বললেন কভার ছাপা হয়ে দেছে, এখন বদলাতে গেলে অনেক টাকার ধাক্কা। প্রমথবাবু সেটা শুনে আমাকে বললেন, এটা আবার সমস্যা কি - দিয়ে দিন টাকাটা, টাকা বড় না গিন্নীর কাছে আপনার সম্মান বড়।
প্রমথবাবু না - সত্যি!

সংযোজনঃ এক্ষুণি একটা সুখবর শুনলাম। কলকাতার ২০১২-র বইমেলায় কলেজ স্ট্রীটের দাশগুপ্ত এণ্ড কোং নাকি বেঙ্গল পাবলিশার্সের স্টলে (স্টল নম্বর ১৪৭) আমার সব বই রাখবে। দিল্লীর ওয়ার্ল্ড বুক ফেয়ারেও আমার বই নাকি থাকবে! খবরটা শুনে বাপিবাবু হার্টফেল না করেন!

Tuesday, September 13, 2011

ম্যানহাটানের ম্যাডম্যান

বাপিবাবু আমার নতুন কাহিনীর নাম ঠিক করে ফেলেছেন 'ম্যানহাটানের ম্যাডম্যান'। তারওপর বই ছাপানোর পাবলিশারও পেয়ে গেছেন। ২০১১-র শেষে বইমেলার আগেই আগেই বইটা বেরোবে - এরমধ্যে যদি প্রকাশক বেঁকে না বসেন।
প্রমথবাবু অবশ্য এই নাম নিয়ে বেশ খোঁটা দিলেন বাপিবাবুকে। "তুই সত্যজিত রায়ের অনুকরণ করছিস, কিন্তু তার নোখেরও যোগ্য নোস। 'কৈলাসে কেলেঙ্কারি'র মধ্যে একটা ছন্দ আছে - যেটা তোর এই নামে নেই। নামটা বরং পালটে দিয়ে লেখ 'কালীঘাটে ঘটকালি'।
বাপিবাবু চটে বললেন, "নামের সঙ্গে গল্পটারতো এক যোগ থাকতে হবে!"
"বিগ ডিল। গল্পের গরু গাছে ওঠে। ম্যানহাটানের বদলে জায়গাটা করে দে কালীঘাট। আর তোর গল্পেতো সবসময়েই নিজের একটা ব্যর্থ প্রেমগাথা ঢুকিয়ে দিস। ছাড়াছাড়ি হবার আগে একেনবাবুকে দিয়ে ঘটাকালিটা করিয়ে দে।"
কথাটা শুনে বাপিবাবু এতো রেগে গেলেন, একটা কথা না বলে ইউনিভার্সিটি চলে গেলেন। যাবার আগে শুধু আমায় বলে গেলেন, "আমি আপনাকে বিখ্যাত কোরবই - ইন স্পাইট অফ প্রমথ।"

Saturday, August 6, 2011

আমার নামহীন নতুন বই

বাপিবাবু আমার আরেকটা কাহিনী প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। ২০১১-তেই নাকি বেরোবে - বইমেলার আগে। কিন্তু কাহিনীর নাম কি দেবেন এখনো স্থির করে উঠতে পারেন নি। আমি বললাম, "তাড়াতাড়ি একটা নাম ঠিক করুন, পাঠকদের জানাতে হবে তো।" উত্তরে বললেন, "দাঁড়ান, লোকে বই কেনে বইয়ের নাম দেখে - অত তাড়াহুড়ো করলে চলে না।"
আচ্ছা বলুনতো, বইয়ের নাম না দিলে পাবলিসিটি হবে কি করে?
প্রমথবাবুকে কথাটা জানাতে বললেন, "আগে ও পাবলিশার পাক, তার পরেতো নামের প্রশ্ন।"
সেটা শুনে বাপিবাবু খুব চটে গেলেন। বললেন, "দরকার হয় ঘটিবাটি বেচে বই ছাপবো। আর কলেজ স্ট্রিটের দাশগুপ্ত এণ্ড কোম্পানিতেই বইটা পাওয়া যাবে। ব্লগে লিখে দিন, আর প্রমথকেও জানিয়ে দেবেন।"
কি ফ্যাসাদ বলুনতো। যাইহোক বইটা প্রেসে গেলেই নামটা জানিয়ে দেবো। কিনবেন কিন্তু।

Thursday, February 10, 2011

'শান্তিনিকেতানে অশান্তির' পর ...

বাপিবাবু বেশ এক্সাইটেড ... আমার ব্লগ-এ দুয়েকটা কমেণ্ট আসছে দেখে। প্রমথবাবুর ধারণা বাপিবাবু নিজেই কমেন্টগুলো করছেন - আমাকে উৎসাহ দেবার জন্যে। সেটা কি হতে পারে স্যার? না, না, বাপিবাবু ভদ্রলোক, আমাকে এভাবে ঠকাবেন না। সত্যিকথা বলতে কি আমি ব্লগ লিখছি নিজের তাগিদে - বাপিবাবুর এত পরিশ্রম করে লেখা কাহিনীগুলো যাতে পুরোপুরি জলে না যায়। ব্লগ-এ কমেন্ট না করে বাপিবাবুর বই কেউ কিনলেই আমি খুশি। তবে অস্বীকার কোরব না স্যার, কমেন্ট পেতে বেশ লাগে। আগের ব্লগ-এ জয়ন্তবাবুর কমেণ্ট (বইমেলায় সুপ্রীম-এর বুকস্টলে শান্তিনিকেতনে অশান্তি পাওয়া যায় নি) পড়ে প্রমথবাবু আমাকে একচোট ঝেড়েছেন। বলেছেন, 'বাপিতো বাজে লেখেই, কিন্তু ওর মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে আপনি আরো বাজে। বই কোথায় পাওয়া যাবে সেটা আপনার বকবকানির মাঝে না রেখে প্রথমে রাখতে পারেন নি? দেখুনতো, ওর মাত্র একটা বই বিক্রি হবার যে সম্ভাবনাটা ছিল, সেটাও গেল'! যাক সে কথা, যা হবার তা হয়ে গিয়েছে।

এবার বাপিবাবু নিউ ইয়র্কের সোশালাইট বিপাশা মিত্র-র বিষ্ণুমুর্তি চুরির কেসটা নিয়ে লিখছেন। আমি দুয়েকলাইন পড়েছি - দেখলাম প্রমথবাবুর অনেক প্রশংসা আছে। যেই সেটা আমি প্রমথবাবুকে জানালাম, উনি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বললেন, "ব্যাটা নির্ঘাত্ টাকা ধার চাইবে বই ছাপানোর জন্যে। একটা পয়সাও আমি দেবো না।"
আমি জানি ইদানীং বাপিবাবুর পয়সার একটু টানাটানি চলছে, তাই বললাম, "কেন দেবেন না স্যার, বাপিবাবুর মত একজন ভালো লোককে?"
প্রমথবাবু বললেন, "ভালো লোকতো ত্রিগুণা সেনও ছিলেন।"
কথাটা শুনে আমি কনফিউসড। বললাম, "কথাটার অর্থ বুঝলাম না স্যার, একটু বুঝিয়ে বলুন।"
প্রমথবাবু বললেন, "আমার বাবা এককালে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ক্রিকেট টিম-এ ছিলেন। ওঁর এক বন্ধুকে টিম-এ চান্স দেবার জন্যে কোচ শিবুদাকে বলেছিলেন, 'টিমে নিয়ে নিন শিবুদা, ছেলেটা ভালো'। শিবুদা তার উত্তরে বলেছিলেন,'তাহলেতো ত্রিগুণা সেনকেও টিমে নিতে হয় (ত্রিগুণা সেন তখন যাদবপুরের রেক্টর)। ওঁর মতো ভাল লোক যাদবপুরে কে আছে'? এবার বুঝলেন?"
আমি হাঁ হয়ে আছি দেখে প্রমথবাবু বললেন, "বাপি যদি লেখক হত, আমি নিশ্চয় ধার দিতুম। এখনও দেবো যদি ও প্রমিস করে লেখার চেষ্টা ছেড়ে দেবে।"
আমি একটু চিন্তাতেই পড়েছি। বাপিবাবুর এত পরিশ্রম বোধহয় সত্যিই এবার মাঠে মারা যাবে - যদি না বাঙালী পাঠক ওঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। বিশ্বাস করুন, স্টকে না থাকলেও যে কোনো বইয়ের দোকানে অর্ডার দিলে তারা শান্তিনিকেতনে অশান্তি কলেজ স্ট্রিটের 'দাশগুপ্ত এণ্ড কোং' থেকে আনিয়ে নিতে পারে। ১২৫ বছরের পুরনো দোকান এই দাশগুপ্ত কোম্পানী - সব বইয়ের দোকানই চিনবে। আর কি বলবো, আমার ভয় হচ্ছে এই বুঝি বাপিবাবুর শেষ......।