Sunday, January 9, 2011
অবশেষে 'শান্তিনিকেতনে অশান্তি' প্রকাশিত হল
কলকাতার বইমেলার আগেই দেখলাম 'শান্তিনিকেতনে অশান্তি' বার হয়েছে। পৌষমেলায় সুবর্ণরেখা বইয়ের দোকানে কয়েকটা কপি দেখলাম। কিন্তু বাপিবাবু ঝুলিয়েছেন। আমার পুরো নামটা কোথাও উল্লেখ করেন নি। শান্তিনিকেতনের ইউনিভার্সাল বাচ্চুদা (হিতব্রত রায়) বইটা পড়ে কালোর দোকানে বসে যখন আমার কথা বলছিলেন, তখন কে জানি জানতে চাইল - গোয়েন্দার পদবীটা কি? কি মুশকিল! বাচ্চুদা অবশ্য বানিয়ে বলে দিলেন - একেন দাশগুপ্ত। পরে নাকি বাপিদাকে মস্ত একটা ধমক দেন, কি রকম লেখক তুই! গোয়েন্দার পুরো নামটাও দিস না!
প্রমথবাবু যাই বলুন, বাপিবাবু আমাকে বলেছেন - এবার কিছু লোক আমার কথা জানবে। বই সম্পর্কে কয়েকটা মন্তব্যও পেয়েছেন বাপিবাবু। ভালো-মন্দ দুই-ই। তবে ভালোর ভাগই নাকি বেশী। প্রমথবাবুর মতে যারা ভালো বলেছে তারা সবাই বাপিবাবুর কাছ থেকে বইটা কমপ্লিমেণ্টারি কপি হিসেবে পেয়েছে। যারা পয়সা দিয়ে কিনেছে - তারাই গালমন্দ করছে। আপনারা নিজেরা যদি বইটা পয়সা দিয়ে কেনেন এবং পড়ে ভাল লাগে, প্লিজ বাপিবাবুকে জানাবেন। বইমেলায় বইটা পাওয়া যাবে বেঙ্গল পাবলিশার্স, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স (স্টল নম্বর ২২১) আর এ মুখার্জী-র স্টলে। কলেজ স্ট্রীটে বইটা পাওয়া যাচ্ছে দাশগুপ্ত এণ্ড কম্পানী-তে। দাশগুপ্ত ১২৫ বছরের পুরনো দোকান হয়েও কেন যে বইমেলায় দোকান দেয় না - কে জানে!
কভারের ছবিটা বাপিবাবু নিজে করেছেন। প্রমথবাবুর অবশ্য কভারটা পছন্দ হয় নি। সাত জায়গা থেকে চুরি করে কোলাজ - এটা আবার কভার হল নাকি? এর পরে যদি আমাকে নিয়ে বাপিবাবু কিছু লেখেন, তাহলে কভার ডিসাইন করবেন প্রমথবাবু। তবে 'যদি' কথাটার উপর প্রমথবাবু খুব জোর দিয়েছেন। প্রমথবাবুর মনে করেন এই শেষ - এর পরে আর কেউ বাপিবাবুর বই ছাপবে না। বাপিবাবু কিন্তু আমাকে বলেছেন বই আরো বেরবেই - প্রতিমাসে উনি টাকা জমাচ্ছেন। সেই টাকা দিয়েই উনি বই বার করবেন। কে ঠেকাবে?
Subscribe to:
Posts (Atom)