অনিতামাসি ফোন করেছিলেন, একটা বিশেষ দরকারে সাহায্য চান।
আমি বাপিবাবুকে জিজ্ঞেস করলাম, উনি ফ্রি আছেন কিনা।
কেন, জিজ্ঞেস করায় অনিতামাসির কথা বললাম। বাপিবাবু বললেন ডেকেছেনতো আপনাকে আমাদের এর মধ্যে জড়াচ্ছেন কেন?
আমি বললাম, কিযে বলেন, আপনারা ছাড়া আমি অচল।
প্রমথবাবু রন্নাঘরে ছিলেন, সেখান থেকেই বললেন, একটু ঝেড়ে কাশুন না মশাই। ভাব দেখাচ্ছেন আমাদের সাহায্য ছাড়া আপনি রহস্যভেদ করতে পারবেন না| আসলে দরকার হচ্ছে শুধু বাপির গাড়ি। ট্যাক্সিতে উঠবেন না পয়সা খর্চা হবে বলে।
শুনছেন স্যার, প্রমথবাবুর কথা, আমি বাপিবাবুর সাপোর্ট চাইলাম।
চুপ কর তুই, সব কিছুই বাঁকা ভাবে দেখা তোর স্বভাব।
বেশ করি দেখি, তুই আর আমাকে জ্ঞান দিস না| যা না, বেচে ফেল তোর গাড়ি, দেখি কত ডাক পড়ে তোর !
আমার খেয়েদেয়ে কাজ নেই, তুই ঠিক না ভুল প্রমাণ করতে গাড়ি বেচতে হবে। তোরতো গাড়ি নেই, তোকে কেন ডাকেন একেনবাবু?
সেটা ভদ্রতায় বাধে বলে।
প্রমথবাবু বাইরে যাই বলুন না কেন, ওঁর মনটা ভালো।
সেদিন অনিতামাসির বাড়িতে গিয়ে একটা দারুন ইন্টারেস্টিং কেসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম। বাপিবাবু 'খুনের আগে খুন' নাম দিয়ে গল্পটা কলকাতায় ছপিয়েছেন। নামটা অর্থহীন মনে হতে পারে, কিন্ত খুন ব্যাপারটাইতো আর্থহীন।
Monday, August 2, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
1 comment:
এবারের 'সুখি গৃহকোণে' গল্পটা পড়লাম। বাপিবাবু কি সুজন দাশগুপ্ত ?
Post a Comment